শস্য পরিবারের অন্যতম সদস্য হল রাজমা। এই রাজমাতে রয়েছে প্রোটিন ও অন্য মাহাত্ম্যপূর্ণ পুষ্টি। যা শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। রাজমায় থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়ার জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। রাজমা বজম প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করে। রাজমা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী। এই রাজমায় রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। রাজমা চাওয়াল উত্তর ভারতের অধিকাংশ মানুষের প্রিয় খাবার। যদিও এ রাজ্যেও অনেকে রাজমা খেয়ে থাকেন। লাঞ্চে রাজমা ও ভাত খেলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে। কিন্তু এই রাজমা ভিজিয়ে রাখতে হয়। তবেই রান্না করা যায়। কিন্তু হঠাৎ করে রাজমা খেতে ইচ্ছে করলে কী করবেন? জেনে নিন সহজ টিপস।
রাজমা (রাজমা কারি) একটি জনপ্রিয় উত্তর ভারতীয় খাবার যা ভাতের সাথে খেতে দারুণ লাগে। নিচে রাজমার রেসিপির উপকরণ দেওয়া হলো:
রাজমা রেসিপির উপকরণ:
প্রধান উপকরণ:
- রাজমা (লাল বিনস) – ১ কাপ (রাতভর ভিজানো)
- পানি – সেদ্ধ করার জন্য
মসলা উপকরণ:
- পেঁয়াজ – ২টি (মিহি কাটা)
- টমেটো – ২টি (পিউরি বা কুচি করে)
- আদা-রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ – ২টি (চেরা)
- হলুদ গুঁড়া – ½ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ (স্বাদমতো)
- ধনে গুঁড়া – ১ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া – ½ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া – ½ চা চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- তেল/ঘি – ২-৩ টেবিল চামচ
- ধনেপাতা – গার্নিশ করার জন্য
রাজমা সেদ্ধর টিপস
রাতে ভেজাতে ভুলে গেলে প্রথমেই যেটা করবেন কাঁচা রাজমা ধুয়ে ২০ মিনিটের জন্য তা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর প্রেসার কুকারে জল, বেকিং সোডা ও রাজমা দিয়ে ৪-৫টা সিটি দিন। ঢাকা খুলে আবার গরম জল দিয়ে ফের ৪-৫টা সিটি দিয়ে দিন। অর্থাৎ আপনাকে রাজমা দুবার সেদ্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে রাজমা সেদ্ধর সময় জলে সুপারি ও বরফ যোগ করবেন। এবার কম আঁচে রাখুন আর ফুটতে দিন। এতে আপনার রাজমা সেদ্ধ হয়ে যাবে।
রাজমার রেসিপি
প্রথমে পেঁয়াজ ও টমেটো কেটে নিন। এরপর, এগুলো একটি মিক্সার জারে রেখে পিউরি তৈরি করুন।
প্যানে সাদা তেল ও ঘি গরম করে পেঁয়াজ দিয়ে ভাজুন। সোনালি রং ধরলে টমেটো ও পেঁয়াজ বাটা দিন। কষাতে থাকুন।
এবার এই রাজমায় একে একে হলুদ, লঙ্কা, ধনে ও জিরে গুঁড়ো দিন। নুন দিন স্বাদমতো।
প্রেসারের ঢাকানা খুলে জলশুদ্ধ রাজমা মশলায় দিয়ে দিন।
ভাল করে কষিয়ে নিন। এবার কসৌরি মেথি যোগ করুন। ঝোল ঘন হয়ে এলে নামানোর আগে ঘি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।
0 Comments